প্রশ্ন: "আগে বাইতুল্লাহতে চার মাজহাবের চার জামাত হতো। সৌদি সরকার এসে এগুলো সব

 
Written By Sanjir Habib On Dec-8th, 2017

প্রশ্ন:

“আগে বাইতুল্লাহতে চার মাজহাবের চার জামাত হতো। সৌদি সরকার এসে এগুলো সব বন্ধ করে দিয়ে এক জামাত করেছে। এর পরও আপনি মাজহাবের পক্ষে কথা বলেন কেন?”

ঠিক। মাজহাবের যেমন ভালো দিক আছে। তেমনি এক্সট্রিমে চলে গেলে বিভক্তিও আছে। এবং এক্সট্রিমিজিম সব দিকেই আছে। ম্যগনিচিউড কম বেশি।

অনেক কথা। সব ব্যখ্যা করে বলতে গেলে ষ্টেটাস অনেক লম্বা হয়ে যাবে। তাই আমি পয়েন্ট কোট করে ছেড়ে দিচ্ছি। এগুলো থেকে আপনি অভার অল আইডিয়া পাবেন।


এক মাজহাবের ইমামের পেছনে অন্য মাজহাবের নামাজ হবে না এরকম সরাসরি ফতোয়া নেই। কিন্তু এই-ওই তাহকিক সাবধানতার জন্য এরকম করতে অনুৎসাহিত, অনুউত্তম বা, “পড়তে পারেন কিন্তু সে যদি তাদের মাজহাব মতো ওজুর সময় ওটা না করে তবে আপনারও কিন্তু নামাজ হবে না বলে দিলাম।” এই ধরনের কথা দিয়ে বিরত রাখা প্রচলিত আছে।


আমি ৮০ সাল পর্যন্তও এগুলো দেখেছি। ২০০০ এর দিকে মক্কায় গিয়েও এই রকম দেখেছি। পরে এখন এগুলো কমে এসেছে।

যেমন ২০০০ এর দিকে হজ্জের দিনে হানাফিদের আরাফার হজ্জের মূল জামাতে নামাজ পড়তে নিষেধ করা হতো। এটা বই পুস্তকে লিখে দিতো আলেমগনের মুখেও বলতেন। কারন মুসাফির না হয়েও ইমাম নামাজ কসর করেন সে কারনে। যদিও ঈমামের মাজহাব মতে এটা ঠিক।


সেকেন্ড আরেকটা আছে কালো নাইলন মুজা পায়ে যে সকল আলেম মক্কা মদিনাতে নামাজ পড়ায় তাদের পেছনে নামাজ পড়ার নিষিদ্ধতা। কারন তারা নাইলনের মুজার উপর মসেহ করে, যেটা হানাফি মাজহাবে নিষেধ।


নামাজের সময় নিয়েও মাজহাবে পার্থক্য আছে। কিন্তু দুই হারাম শরিফে নামাজ পড়ার জন্য এ ক্ষেত্রে অনুমতি দেয়া আছে, তাদের সময়ে তাদের পেছনে পড়লেও নামাজ হবে। কিন্তু ধরেন মিনায় যখন নামাজ পড়বো তখন কি? গন্ডোগোল লাগে।


রিসেন্টলি মুফতি মনসুর সাহেবকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, আহলে হাদিসদের পেছনে নামাজ হবে কি না? উনি জবাব দিয়েছিলেন না পড়াই ভালো কারন তাদের ওজু ভাঙ্গা আর আমাদের ওজু ভাঙ্গার শর্তে পার্থক্য আছে।

এই ধরনের কারন।


“তাহলে কি এখন আরো ভালো হলো না?”

Arguably. কারন আগে আমার নামাজ তার পেছনে হয় কিনা সেটা নিয়ে দ্বন্ধ ছিলো। কিন্তু এটা ছিলো তাকওয়ার প্রশ্ন। হাম্বলিদের নিজেদের নামাজ হয় না এরকম কোনো কথা হানাফিরা বলতো না। বা শাফিরা বলতো না হানাফিদের নামাজ হয় না।

কিন্তু এখন যুক্তি চলে গিয়েছে “তাদের নামাজই হয় না” স্টেইজে। মতিউর রহমান মাদানি সাহেবের লেকচার দেখতে পারেন ইউটুবে এর রেফারেন্স হিসাবে। ওজুর সময়ে কেউ ঘাড় মুছলে, তার নামাজ হবে না।


এর সাথে আছে সহি আকিদার প্রশ্ন যেখানে কোনো কম্প্রমাইজ নেই। যে দৃষ্টিতে ১০% আথারিদের মতে ৯০% আশারি কাফের। তাই ভালো হয়েছে বলবো অতটুকু যতটুকু ভালো হয়েছে। বাকি খারাপ অতটুকু যতটুকু খারাপ।


ব্যক্তিগত ভাবে আমি ভিন্ন মাজহাবের পেছনে নামাজ না পড়ার ফতোয়াগুলো অনুসরন করি না। এক জামাতেই পড়ি, যতক্ষন ইমাম তার নিজের মাজহাব অনুসরন করছে।