মাজহাবের পক্ষে - ৩
“কিন্তু হানাফিরা সহি হাদিস ছেড়ে জয়িফ হাদিস অনুসরন করে কেন?” আমার প্রশ্ন ছিলো।
পেলাম,
১
ইমাম আবু হানিফা মূলতঃ ফিকাহ শিখেছেন এবং প্রচার করেছেন কুফায়।
ওমর রা: এর খিলাফতের সময়ে ইরাক বিজয়ের পর ওমর রা: আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা: কে কুফায় পাঠিয়ে দেন কুফা বাসীদের দ্বিন শেখানোর জন্য। উনি ঐ যুগের সবচেয়ে বড় আলেমদের একজন ছিলেন।
আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা: এর শিক্ষা কুফায় প্রসার লাভ করে। উনি মারা যান ৩৩ হিজরিতে। ইমাম আবু হানিফা জন্ম গ্রহন করেন ৮০ হিজরিতে।
এবং আবু হানিফা রাহি: ছিলেন ইবনে মাসউদ রা: এর ছাত্রের-ছাত্রের-ছাত্রের-ছাত্র। এর ফ্লো চার্ট কমেন্টে দেয়া আছে।
স্বভাবতঃই ইবনে মাসউদ রা: এর শিক্ষা আবু হানিফা রাহি ফিকাহতে প্রায়োরিটি পেয়েছে।
২
আবু হানিফা রাহি: সমসাময়িক দ্বিতীয় ইমাম, ইমাম মালিক রাহি: এরকম মদিনা শরিফে বসবাস করেন। এবং মদিনাতে প্রচলিত সু্ন্নাহ গুলোর আলোকে রায় দেন। সে থেকে মালেকি মাজহাব। সেটাও হিজরি প্রায় ১০০ এর কাছা কাছি।
উনারা দুজনই তাবেইনদের দেখেছেন এবং তাদের থেকে শিক্ষা করেছেন। রাসুলুল্লাহ ﷺ এর শিক্ষা উনাদের কাছে প্রেকটিক্যলি পৌছেছিলো। হাদিসের শিক্ষার সাথে সাথে, কোন হাদিস সাহাবা কিরামগন কিভাবে অনুসরন করেন কোনটা কি কারনে করেন না, সেটাও উনারা প্রেকটিক্যলি দেখেছেন।
এর দুই জেনারেশন পর আসেন ইমাম শাফি এবং ইমাম ইবনে-হাম্বল। উনারা দুজনই সহি হাদিসের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন বেশি। হিজরি ১৫০ এর দিকে।
আবারো, ফ্লো চার্ট কমেন্টে দেয়া আছে।
এরও দুই জেনারেশন পরে ইমাম বুখারি এবং ইমাম মুসলিম আসেন যারা শুধুমাত্র সহি হাদিসগুলোকে আলাদা করে কিতাব বদ্ধ করেন। তখন হিজরি ২০০।
৩
এখন
১০০ হিজরি : দুজন ইমাম দুই শহরে থেকে উস্তাদদের শিক্ষা থেকে রায় দিয়েছেন।
১৫০ হিজরি : আরো দুজন ইমাম মূলতঃ সহি হাদিসের ভিত্তিতে রায় দিয়ছেন।
২০০ হিজরি : আরো দুজন ইমাম শুধু সহি হাদিসগুলোকে কিতাব বদ্ধ করেছেন।
এ থেকে কি পরবর্তি জেনারেশনে ইমামদের নিকট যে হাদিসগুলো জয়িফ বর্ননায় পৌছেছে তার অনেকগুলো কেন আগের জেনারেশনের ইমামরা অনুসরন করেছেন তার ব্যখ্যা পাওয়া যায়?
আমি সমস্যা দেখি না।
#HabibHanafi
আগের পর্ব:
https://www.facebook.com/habib.dhaka/posts/10154726972678176