মাজহাবগত পার্থক্য - ১৭ : বিয়ে

 
Written By Sanjir Habib On Mar-27th, 2017

মাজহাবগত পার্থক্য - ১৭ : বিয়ে


হানাফি : মেয়ে যদি ১২ বছরের বড় হয় তবে নিজে বিয়ে করতে পারবে বাপের অনুমতি ছাড়া।

সালাফি : মেয়ের প্রথম বিয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবককে মেয়েকে বিয়ে দিতে হবে। নিজে নিজে করতে পারবে না।


হানাফি: মেয়েকে মহর দিতে হবে, এবং এটা ১০ দিরহামের কম হতে পারবে না।

সালাফি: মহরের কোনো মিনিমাম এমাউন্ট নেই। অনেকে কোরআনের কোনো সুরাকে মহর ধরে বিয়ে করে। এটাও জায়েজ।


সালাফি: এক সাথে তিন তালাক দিলে ১ তালাক হিসাব হবে।
https://islamqa.info/en/96194

হানাফি: তিন তালাক ধরা হবে।


প্রসংগক্রমে:
এ দেশে একসময় দেখা যেতো রাগের মাথায় বৌকে তিন তালাক দিয়ে ফেলে দাবি করতো, “আমি হানাফি ছেড়ে আহলে হাদিস হয়ে গিয়েছি, তাই এক তালাক ধরতে হবে, এবং বৌ তালাক হয় নি।”

সংবাদ পত্রে এরকম খবর আসতো মাঝে মাঝে।


এর উল্টোও হয়। পশ্চিমে পড়তে যাওয়া সালাফি অনুসারি কোনো মেয়েকে অভিভাবকের অনুমতি ব্যতিত বিয়ে করে বলতো, “আমরা হানাফি মতে বিয়ে করেছি, অভিভাবকের অনুমতির দরকার নেই।”

এ থেকে টিজিং কথাটা এসেছে, “বিয়ের সময় হানাফি, তালাকের সময় আহলে হাদিস।”

এবং অন্যান্য মাজহাব যেমন মালেকি শাফেয়িতে বিয়ের রিকোয়ারমেন্টগুলো কম বেশি আছে। কোনোটায় একটা কিছু শর্ত, অন্যটায় ওটা ঐচ্ছিক।

এ কারনে একটা নির্দিষ্ট মাজহাব/মানহাজ অনুসরন করার প্রয়োজনীয়তার কথা অনেক উলামা উল্লেখ করেন। যেটাই করুক। নচেৎ সুবিধা মত ফতোয়া মার্কেটিং হয়ে যায়।

#HabibDiff