হজ্জের কাফেলার সমস্যা সমুহ - cont./2
৩
সমস্যা : হজ্জ শেষে ফিরার আগে দূরের কোনো বাসায় রাখা।
এটা করে এভাবে
- হজ্জের এক মাস আগে মক্কায় নিয়ে হারাম শরিফের কাছের কোনো হোটেলে রাখবে।
- হজ্জের দুই সপ্তাহ আগে মদিনা শরিফ নিয়ে যাবে।
- এর পর হজ্জের কয়েকে দিন আগে মক্কায় ফিরিয়ে এনে এত দূরে কোনো বাসায় রাখবে যেখান থেকে হারাম শরিফে গাড়িতে করে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।
- দেশে ফিরার পূর্ব পর্যন্ত সেখানেই রাখে।
তাতে তাদের খরচ বাচে:
- এক মাস আগে হোটেলগুলোর রেট অনেক কম থাকে। তখন কাছের ভালো হোটেলে রাখে। এবং দেশের হাজ্জিদের ঐ হোটেলগুলোর গল্প, দুরত্ব এই সব বলা হয়। কিন্তু হজ্জের সময়ে এবং হজ্জের পরে মূল হোটেল হয় অনেক দূরে।
সমস্যা:
- দেশে ফিরার আগে যে ২ সপ্তাহ মক্কাতে থাকতে হবে তখন হারাম শরিফে নামাজ পড়া যায় না। বাসে করে গিয়ে কিছু ওয়াক্ত পড়া ছাড়া। অন্তরে কালো দাগ পড়ে।
৪
এর পরের সমস্যা : সোজাসাপ্টা মানুষদের প্রমিজড পেকেজে না দিয়ে কম দামিদের সাথে রাখা।
এটা করে এভাবে
- বলবে আমাদের প্যকেজ ৬ লক্ষ, ৫ লক্ষ, ৪ লক্ষ, ৩ লক্ষ টাকার। ৫ লক্ষের প্যকেজে ১০০ মিটার দূরে হোটেল। ৩ লক্ষের প্যকেজে ১ কিলোমিটার। এই রকম।
কিন্তু:
সেখানে গিয়ে দেখবেন এই চারটা প্যকেজ আসলে একই প্যকেজ। সবাইকে একই হোটেলে রাখছে। একই খাবার।
“তাহলে বেশি রেইট দিলাম কেন?” জিজ্ঞাসা করলে।
“আপনারা হলেন ভিআইপি গেষ্ট, বিশেষ মর্যাদার”
“আপনাদেরকে ৪ জনের ছোট রুম দিয়েছি, ৫ জনের বড় রুমের বদলে”
“হজ্জে আসছেন এখন চিল্লা পাল্লা করে হজ্জ নষ্ট করবেন না”
বুঝবেন যে ঠকেছেন। এটা আগে থেকে বুঝার উপায় নেই। কারন তখন তারা বলছিলো “আমরা এই রকম না।”
উল্লেখ্য এটা মন্ত্রী মিনিষ্টার বা বড় পদের লোকদের ক্ষেত্রে করার সাহস পায় না। তাই সেরকম কেউ হলে আপনার চিন্তা নেই। তাদেরকে মূল কাফেলার বাইরে একটা ফেমিলি প্যকেজে দিয়ে একজন লোক লাগিয়ে দেয়। কিন্তু এর বাইরে আমার-আপনার মত আম-জনতা এই প্রতারনায় পড়ে।
এর সমাধান হলো:
সবচেয়ে সস্তা রেটের পেকেজে যাওয়া। গিয়ে দেখবেন সব এক। দেশে যতই বড় গলায় “পার্থক্য আছে”, “আমরা এই রকম না” বলুক না কেন।
উল্লেখ্য: সস্তা পেকেজ আরম্ভ হয় ২ লক্ষ ৬০ থেকে। এরা ৪ লক্ষের পেকেজের সাথে একই সাথে থাকবে।
পেকেজ এক, কিন্তু যার কাছ থেকে যা নিতে পারে তার উপর ভিন্ন ভিন্ন নাম। :V :V
#HabibHajj