হজ্জের জন্য সবাই যেহেতু টাকা দিয়ে দিয়েছেন তাই এখন পেকেজের মন্দগুলো লিখছি। কারন

 
Written By Sanjir Habib On Jan-24th, 2017

হজ্জের জন্য সবাই যেহেতু টাকা দিয়ে দিয়েছেন তাই এখন পেকেজের মন্দগুলো লিখছি। কারন এখন আর এজেন্সিগুলোর ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। আগে এই সব লিখলে এজেন্সির মালিকেরা আমাকে… আমাকে ….<লিখার অযোগ্য> :-)

প্রথম পর্বে: টাকা বাচানোর জন্য যা করে, এর মাঝে হজ্জের জন্য ক্ষতিকর যা কিছু।

১। মিনার দিনগুলোতে মিনাতে না রেখে, মুজদালিফা এলাকাতে রাখা:

মিনার তাবুগুলোর ভাড়া বেশি। হাজ্জিরা মিনা মুজদালিফার পার্থক্য টের পায় না। তাই মিনার দিনগুলোতে মিনার পেছনে মুজদালিফাতে হাজ্জিদের রাখে।

এর পর তাদের ব্যখ্যা:
“এতে আমাদের কোনো হাত নেই।”
“মুয়াল্লেম যেখানে দেয় সেখানেই থাকতে হবে।”
“এই উপমহাদেশের সবাই এইখানেই থাকে।”
“এটাই মিনা।”
এই সব।

মিনার দিনগুলোতে মিনাতে থাকা হানাফি ফিকাহ অনুযায়ি অনেক উচু স্তরে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। এবং সালাফি হাম্বলি মতে ওয়াজিব।

মুজদালিফাতে থাকলে সেটাও মিনার মত হবে এরকম উলামাদের ফতোয়া আছে।
কিন্তু আমার মনে রাখতে হবে আমি এটা করছি টাকা বাচানোর জন্য। এবং এর সাথে আরো বেশ কয়েকটা মাসলা-সমস্যা জড়িত।

এর সমাধান হলো:
সরকারী ব্যবস্থাপনায় হজ্জে যাওয়া। কারন বাংলাদেশের সরকারী হাজ্জিদের মিনাতেই রাখা হয়। অথবা অল্প দু একটা যে কাফেলাগুলো এখনো মিনাতে হাজ্জি রাখে তাদের সাথে যাওয়া। চার বছর আগে এরকম দেখেছিলাম চট্রগ্রামের মেয়র কাফেলা এবং আরেকটা যার নাম মনে নেই। গত বছর এরকম কেউ ছিলো কিনা সেটা খুজে দেখতে হবে।

২। জিলহজ্জের প্রথম ১০ দিন মসজিদুল হারামের কাছে না রাখা।

ঐ সময়ে মক্কার বাড়ির ভাড়া সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই হজ্জ কাফেলাগুলো বাড়ি ছেড়ে দিয়ে হাজ্জিদের হয় মদিনা শরিফে, বা মসজিদুল হারাম থেকে ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে কোথাও রাখে।

এর পক্ষে তারা বলে,
“ঐ সময়ে মক্কায় প্রচন্ড ভিড় থাকে”
“হজ্জের সময়ে আপনারা মিনাতে থাকবেন, তাই মিনার কাছের বাড়িতে আপনাদের নিয়ে যাচ্ছি।”
“শুধু এক সপ্তাহের জন্য দূরে থাকবেন, আমরা বাস দিয়ে আপনাদের নামাজ পড়ানোর ব্যবস্থা করবো”

এই সব।

অথচ, জিলহজ্জের প্রথম ১০ দিনের ইবাদতের সোয়াব হলো রমজানের শেষ দশ রাতের ইবাদতের সোয়াবের মত। এটা মিস হয় টাকা বাচানোর জন্য।

তাই কয় স্টারের হোটেল - সেটার থেকেও আমার কাছে জরুরী হলো এই দুটো পয়েন্ট। যেহেতু সোয়াবের জন্য যাচ্ছি।

#HabibHajj