প্রশ্নোত্তোর, ১ "আপনি সালাফিদের শরিয়তের উৎস দুটি লিখেছেন। অথচ তারাও ইজামা কিয়াসে

 
Written By Sanjir Habib On Jan-18th, 2017

প্রশ্নোত্তোর,

“আপনি সালাফিদের শরিয়তের উৎস দুটি লিখেছেন। অথচ তারাও ইজামা কিয়াসে বিশ্বাস করে।”

সালাফিদের পক্ষ থেকে ৯০ এর দিকে ইজমা কিয়াসকে একেবারেই অগ্রহনযোগ্য ও শরিয়তের কোনো উৎস না বলা হতো। “আমাদের দলিল শুধু কোরআন হাদিস।”

এর উপর ভিত্তি করে আমি নেটে খোজ লাগিয়েছিলাম এখনও এই বিশ্বাস আছে কিনা। বেশ কয়েকটা পেয়েছি। তাই লিখেছি।

যেমন,
“বাতিল ফিরকার লোকেরা ইজমা ও কিয়াসকে ওয়াহীর আসনে বসিয়েছে এবং বলে থাকে : ইসলামী শারীয়াতের ভিত্তি চারটি বিষয়ের উপর”
https://deenilhaq.wordpress.com/2013/01/03/

“ইজমা শুধু চার খলিফার সময় পর্যন্ত গ্রহনযোগ্য, এবং কিয়াস একেবারেই বাতিল”
https://www.facebook.com/IslamicQUSANS/videos/1174735559269787/

শায়েখ আকরামুজ্জামানের “শরিয়তের দলিল শুধু দুইটি, এর সাথে শরিয়তের দলিল হিসাবে আরো দুইটি যোগ করা যাবে না।”
https://www.youtube.com/watch?v=W-wkoQXCWog

এরকম আরো অনেক।

আমি বলতে পারতাম সালাফিদের মতেও শরিয়তের দলিল চারটি। কিন্তু তখন অন্য পক্ষ আপত্তি করতো। আমার কাছে দুইটিকে মূলধারা মনে হয়েছে।


“যয়িফ হাদিসকে সালাফিরা অগ্রহনযোগ্য মনে করে – বলেছেন, কিন্তু আসলে তা না”

এটা নিয়ে নেটে আমি সালাফির সাথে অনেক তর্ক করেছি। তাদের মত ছিলো যয়িফ হাদিস একেবারই অগ্রহনযোগ্য। এর উপর তারা একটা পিডিএফও পাঠিয়েছিলো আমাকে। এবং এক্সপেরিয়েন্স থেকে দেখেছি কোনো কারনে যদি তারা যয়িফ হাদিসকে গ্রহনযোগ্য বলে তবে তার ক্যটাগরিকে যয়িফ থেকে “এই এই কারনে উপরে” উঠিয়ে তার পর গ্রহন করে। যয়িফ রেখে করে না।

শায়েখ আলবানী রাহি: ও যয়িফ হাদিসকে অগ্রহনযোগ্য মনে করতেন। আরব আলেমদের মুখেও আমি যয়িফ হাদিস অগ্রহনযোগ্য শুনেছি।

তাই এটাকে মূলধারা ধরেছি। যদি লিখতাম “সালাফিরা যয়িফ হাদিসকে শর্ত সাপেক্ষে গ্রহন করে” তবে অন্য পক্ষ আপত্তি জানাতো।


“আপনি তকলিদকে সালাফিরা অগ্রহনযোগ্য মনে করে লিখেছেন। কি্ন্তু এই এই ক্ষেত্র তকলিদ গ্রহনযোগ্য”

Ditto, মানে উপরের মত একই। এই কেইসেও।