"নামাজ কায়েম" এর অর্থ মূলধারার তফসির কিতাবগুলোতে যা লিখা আছে:

 
Written By Sanjir Habib On Feb-28th, 2016

“নামাজ কায়েম” এর অর্থ মূলধারার তফসির কিতাবগুলোতে যা লিখা আছে:

তফসিরে ইবনে কাসির থেকে।

অনুবাদকৃত অংশের আরবী লিংক।
http://library.islamweb.net/newlibrary/display_book.php?idfrom=58&idto=58&bk_no=49&ID=62

[ নিচেরটা আমার ট্রেইনি অনুবাদ। প্রফেশনাল অনুবাদের জন্য অনুবাদ বই দেখুন ]

ويقيمون الصلاة ومما رزقناهم ينفقون قال ابن عباس : ( ويقيمون الصلاة أي : يقيمون الصلاة بفروضها . ইবনে আব্বাস রা: বলেছেন “য়াকিমুনাস সলাত…” এর অর্থ নামাজ কায়েম করা এর ফরজগুলো সহ।

وقال الضحاك ، عن ابن عباس : إقامة الصلاة إتمام الركوع والسجود والتلاوة والخشوع والإقبال عليها وفيها . দ্বাহাক বলেছেন ইবনে আব্বাস থেকে: নামাজ কায়েম অর্থ হলো পরিপূর্ন রুকু, সিজদা, তিলওয়াত, খুশু [ভয়ের সাথে নামাজ পড়া] ও কিবলা মুখি হওয়া বাহির এবং ভেতর থেকে।

وقال قتادة : إقامة الصلاة : المحافظة على مواقيتها ، ووضوئها ، وركوعها وسجودها .

কাতাদা বলেছেন: কায়েম করার অর্থ নামাজের ওয়াক্ত, ওজু, রুকু এবং সিজদাকে ঠিক রাখা।

وقال مقاتل بن حيان : إقامتها : المحافظة على مواقيتها ، وإسباغ الطهور فيها ، وتمام ركوعها وسجودها ، وتلاوة القرآن فيها ، والتشهد والصلاة على النبي صلى الله عليه وسلم فهذا إقامتها .

মুকাতিল বিন হাইয়ান বলেছেন: কায়েম করা অর্থ: নামাজের ওয়াক্তকে ঠিক রাখা, আগে থেকে পবিত্র হওয়া, রুকু আর সিজদাকে পূর্ন করা, কোরআন তিলওয়াত করা, তাশহাদু পড়া, আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর দূরূদ পড়া – আর এটাই নামাজ কায়েম করার অর্থ।

وقال علي بن أبي طلحة ، وغيره عن ابن عباس : ( ومما رزقناهم ينفقون قال : زكاة أموالهم .

<শেষ। এর পর পরবর্তি প্রসংগ নিয়ে আলোচনা>

এর পর তফসিরে তাবারি দেখলাম। সেখানেও একই কথা বলা আছে। তবে রেফারেন্স আরো কম। সবচেয়ে লম্বা বর্ননা চোখে পড়লো এটাই।

এগুলো এখানে আরেকবার দিলাম না।


নামাজ কায়েম করা বলতে নামাজ পড়া বুঝায়। এর বাইরে কিছু না। কিভাবে পড়তে হবে এর উপর তফসিরের কিতাবে শুধু ব্যখ্যা আছে।

বুঝাতে পারে। সেটা ভিন্ন ব্যখ্যা। তবে মূলধারার তফসিরের কিতাবে আমি সেরকম কোনো কথা পাইনি। এবং মূলধারার ব্যখ্যাকে আমার নিজের জন্য যথেস্ট মনে করি। এর বাইরের ব্যখ্যা হলো যে গ্রহন করে তার।

কোনো ধারনা নেই। অন্য কোনো তফসির গ্রন্থ থেকে আসতে পারে। যেমন তফসির ফি দ্বিলালির কোরআন বা তাফহিমুল কোরআন। দুটোই ১৯৫০ সালের দিকে লিখা। তবে বইগুলোর লিখকগন মুসলিম ব্রাদারহুডের দ্বারা অনুপ্রানিত। এটা ভাল বা খারাপ তা বলছি না।

তবে সত্যি কথা হলো সেগুলো আমি পড়ে দেখি নি। এবং এই মুহুর্তে সেগুলো পড়ার ইচ্ছে বা সময় নেই। কারন কারো ভুল ধরা আমার উদ্যেশ্য না। উদ্যেশ্য আমি নিজে আল্লাহর হুকুম পালন করছি কিনা সেটা চেক করে দেখা।

এর জন্য মূলধারার তফসিরগুলো দেখা দরকার ছিলো। এবং ততটুকু অমি দেখেছি বলে বিশ্বাস করি।

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আর সিরাতিল মুস্তাকিমের উপর রাখুন।