হজ্জের জন্য টিকা নিতে হবে। হাসপাতালে যেতে হবে। জানি ধান্ধাবাজের দেশে তারা কিছু

 
Written By Sanjir Habib On Oct-24th, 2014

হজ্জের জন্য টিকা নিতে হবে। হাসপাতালে যেতে হবে। জানি ধান্ধাবাজের দেশে তারা কিছু টাকা খসানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু কি ভাবে করবে বুঝতে পারছি না। টিকাগুলো সরকারি ভাবে আনা এবং এর টাকা হজ্জের ফির সাথে আগেই নিয়ে নিয়েছে।

গেলাম হাসপাতালে।

বললো,
“রক্তের ব্লাড গ্রুপের রিপোর্ট এনেছেন?”
“না।”
“রিপোর্ট লাগবে। ওই দিকে গিয়ে টেস্টগুলো করিয়ে আসেন।”, আংগুল দিয়ে দেখালো।
“আমার গ্রুপ জানা আছে। মুখে বললে হবে না?”
“না হবে না। রিপোর্ট লাগবে।”

বুঝলাম টাকা খাওয়ার ধান্ধা। জীবনে বহুবার ব্লাড টেস্ট করিয়েছে। আরেকবার করানোটা মিনিংলেস।

লাস্ট যেখানে গ্রুপ টেস্ট করিয়েছিলাম সেখান আমার রক্ত নেবার পর জিজ্ঞাসা করেছিল
“গ্রুপ জানা আছে?”
“হ্যা। বি প্লাস।”
এর পর ভেতরে গিয়ে রক্তটা ফেলে দিয়ে দুই মিনিটের ভেতর একটা কাগজে বি প্লাস লিখে আমার হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলো।

এর থেকে ভালো কাজ আমি নিজেই করতে পারি।

সোজা বাসায় চলে এলাম। এসে এম এস ওয়ার্ডে একটা ব্লাড গ্রপের টেস্টের রিপোর্ট টাইপ করে নিলাম। ভুয়া একটা ডায়াগন্টিক সেন্টার আর আন্দাজে একটা এড্রেস, ফোন নম্বর দিয়ে। এর পর কালার প্রিন্টারে প্রিন্ট দেবার পর আমি নিজেই টাশকি। এটা ভুয়া ধরার কোনো উপায় নেই।

তার পরও ভয়ে ভয়ে নিয়ে গেলাম। এরা নার্স মানুষ কি বুঝে কে জানে, আমি তো আর ডাক্তার না।

দেয়ার পর, ওটা পেয়ে দেখি মাথাগুজে কি কি যেন লিখা আরম্ভ করেছে। বুঝলাম এ যাত্রা পাশ।

লাইনের পেছন থেকে এক জন তখন নার্সকে বলছে,
“আপা আপনারা হাজ্জীদের অনেক খেদমত করছেন। আপনাদের জন্য দোয়া করবো”
“হ্যা ভাই দোয়া কইরেন। আপনাদের জন্যই তো আমরা আছি।”, হাসি মুখে নার্সের জবাব।
“আপা, আমি শুনেছি, যারাই দোয়া চায় তাদের জন্য আরাফার মাঠে হাজিদের দোয়া চলে আসে… … ”,আর কি কি যেন বলছে। বোঝা যাচ্ছে নার্সের জন্য ভালই দোয়া করা হবে।

ইতিমধ্যে আমার টিকা দেয়া শেষ। সিল ছাপ্পর দিয়ে কাগজটা ফিরত দিলো। বাহিরে এসে কাগজের দিকে তাকালাম। নার্সের সই ও নিচে তার নাম: “শীলা দত্ত"।